খেলাধুলা

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হওয়া নিউজিল্যান্ড

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হওয়া নিউজিল্যান্ড ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২১ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছিল ৫ উইকেট। এরপর ধরেই নেয়া হয়েছিল গলের স্পিনিং উইকেটে শ্রীলঙ্কার জয় কিছু সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই ধারণা ‍ভুল প্রমাণ করেছেন টম ব্লান্ডেন ও গ্লেন ফিলিপস, ৭৮ রানের জুটির পর বৃষ্টিও তাদের সহায়তা করেছে। ফলে প্রথম ম্যাচে ৬৩ রানে জেতা শ্রীলঙ্কার হোয়াইটওয়াশ দীর্ঘায়িত হলো।

২ ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে জেতা শ্রীলঙ্কা এ ম্যাচে অন্তত ড্র করলেও প্রায় দেড় দশক পর কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতবে। ২০০৯ সালের পর ৬ সিরিজের ৪টিতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড, দুটি হয়েছিল ড্র। মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩৯ টেস্টের মধ্যে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১০, নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৮টিতে। ড্র ১১টি।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানের জুটি গড়েছেন ব্লান্ডেল-ফিলিপস, ৪৭ রান নিয়ে প্রথমজন ও ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত ফিলিপস। ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে তাদের রান ১৯৯, এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ থাকে। তখনও তৃতীয় দিনের খেলা বাকি ছিল প্রায় ২০ ওভারের মতো। শেষ পর্যন্ত আর বল মাঠে গড়ায়নি।

নিউজিল্যান্ড এখনও পিছিয়ে ৩১৫ রানে। বলা যায় চতুর্থ দিন আবহাওয়া পক্ষে থাকলে জয় লঙ্কানদের নাগালে, সেটা হতে পারে ইনিংস ব্যবধানে। ব্লান্ডেল-ফিলিপস কেবল তা আরও পিছিয়ে দিতে পারেন।
এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন ডেভিন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসনের সংগ্রহ ৪৬। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মিচেল স্যান্টনার। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রবাথ জয়াসুরিয়া ৬টি ও নিশান পেইরিস ৩টি উইকেট পান। আসিথা ফার্নান্দো নেন ১ উইকেট।

শ্রীলঙ্কা একমাত্র ইনিংসে ৫ উইকেটে ৬০২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। চান্দিমালের পর কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশাল মেন্ডিসও সেঞ্চুরি তুলে নেন। চান্দিমাল ১১৬, কামিন্দু ১৮২ ও কুশাল ১০৬ রান করে।

Leave a Reply