সারাদেশ

সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের মৃত্যুর ঘটনায় ৩৬ জনের নামে মামলা

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের ওপর হামলা ও পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত শাহজাহান খানের বড় ছেলে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। এ মামলায় আরও একশ থেকে দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার পথে শাহজাহান খান ও তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর সদর উপজেলার পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের শিয়ালী এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মারধর এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত শাহজাহান খান গত ২৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বাদী মো. শিপুল খান বলেন, আমার বাবাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমরা বাবা একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। এই শহরে সিনিয়র সিটিজেনদের কোনো সময় গায়ে হাত দেওয়া তো দূরের কথা কাউকে অসম্মান করার ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর আমার বাবার ওপর হামলা করিয়ে নির্যাতন চালিয়ে এক অপরাজনীতি শুরু করেন।

 

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। এই শহরে অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি জনগণের সেবায় অমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাকে মারধর করে আওয়ামী লীগের নেতারা ঠিকভাবে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেয়নি। আমি আসামিদের নাম উল্লেখসহ মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি আমি আমার পিতার হত্যার সঠিক বিচার পাব।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম বলেন, শিপুল খানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Leave a Reply