যার অর্থ দাঁড়ায়- নবীগণ। এখন আপনারাই বলুন, তাহলে এটা কি কারও নাম হতে পারে? তারপরও আম্বিয়া নামের প্রচুর নারী রয়েছে সমাজে।
আসলে কোরআনে কারিমের একটি সূরার নাম হলো- ‘আম্বিয়া’। এছাড়া আম্বিয়া শব্দটি কোরআনে কারিমের বহু স্থানেও এসেছে। সে কারণেই হয়ত শব্দটি অনেকের পছন্দ এবং এ কারণে কন্যা শিশুর নাম রাখা হয় আম্বিয়া।
কিন্তু নামটি রাখার পূর্বে যদি কোনো আলেমকে জিজ্ঞেস করে অর্থ জেনে নেওয়া হতো- তাহলে অর্থজনিত বিপত্তি বা বিভ্রাট থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হতো।
আসলে যেকোনো শব্দ পছন্দ হলেই সেটি নাম হিসেবে নেওয়া যাবে না। বরং নাম রাখার আগে ওই শব্দের অর্থ জেনে নামটি ছেলে বা কন্যা সন্তানের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের সুন্দর নাম রাখা পিতা-মাতার কর্তব্য। সুন্দর নাম বলতে- তা হতে হবে ইসলামসম্মত নাম। নাম অসুন্দর বা আপত্তিকর হওয়ার কারণে নবী করিম (সা.) অনেক সাহাবির নাম পরিবর্তন করে সুন্দর অর্থবহ নাম রেখেছেন।
এক সাহাবির নাম ছিল আবদুল হাজার (পাথরের বান্দা)। নবী করিম (সা.) শুনলেন, তাকে আবদুল হাজার বলে ডাকা হচ্ছে। তাকে ডেকে বললেন, তোমার নাম কী? সে বলল, আবদুল হাজার। তখন নবী করিম (সা.) বললেন, বরং তুমি আবদুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা)।
এমনিভাবে নামের সঙ্গে সংস্কৃতি ও আদর্শের বিষয়টিও জড়িত। সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে- সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো- সমাজের অনেকেই অজ্ঞতা কিংবা দ্বীন ও সংস্কৃতির প্রতি হীনম্মন্যতার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে- তারা সন্তানের নাম রেখে দেন কোনো বিজাতির নামানুসারে। এটি বড়ই দুঃখজনক বিষয়। সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা দরকার। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।