পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে শেরপুর ও ময়মনসিংহের বেশ কিছু অংশে। এতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের ফসলি জমি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবারের মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী দুটির বাঁধ ভেঙে পানি উপচে পড়ছে। পানির তোড়ে প্লাবিত হয়েছে পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা। চেল্লাখালী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে নন্নী-আমবাগান সড়ক, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়ক, আমবাগান-বাতকুচি সড়ক।
ঝিনাইগাতীতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজারসহ ৪০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রানীশিমুল ও সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঢলের পানিতে অনেক সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আমনের খেত নিমজ্জিত হয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার নেতাই নদের বাঁধ ভেঙে উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও নেই।
ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, দিনভর টানা বৃষ্টি চলছে। কালিকাবাড়ি, পঞ্চনন্দপুর, সেহাগীপাড়া, মন্দিরঘোনাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে।