পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটির সাজেকসহ তার পাশ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দেওয়া এক পত্রে বলা হয়, ‘রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং এইসব এলাকায় পার্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী ৪ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ হতে পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করা হলো।
এর আগে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভ্রমণ না করার এ সময়সীমা আরো তিন দিন বাড়িয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে পযর্টকদের নিরুৎসাহিত করা হয়। এর পর আবারো গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত আরো ৩দিন পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ নিয়ে ৪ দফায় সময় সীমা বাড়িয়ে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমনে বিরত রেখেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক।
গত কিছুদিন আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সা¤প্রদায়িক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটির সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। এখনো সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৪ দফা সময়সীমা বাড়িয়ে পর্যটকদের সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়ে প্রায় ১৫ শত পর্যটক ও ৫ শত ড্রাইবার-স্টাফ। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ও পাহাড়ী ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘন্টা অবরোধের কারণে পর্যটক ও ড্রাইবার-স্টাফরা এই সমস্যায় পড়েন। এজন্য রিসোর্ট কটেজ মালিকদের পক্ষ থেকে তাদের থাকার জন্যে দেওয়া হয় ৭৫% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এছাড়াও তিন দিনের অবরোধের কারণে পর্যটন এলাকায় দেখা দেয়, খাবার পানি, গ্যাস ও খাদ্য সংকট। তাই সা¤প্রদায়িক সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে পর্যটকদের সেখানে ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে প্রশাসন থেকে।