টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিপদে দৃঢ়চেতা থাকার গুন বহু আগে থেকেই, রয়েছে অনেক উদাহরণ। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে তা প্রমাণ করেছেন। আরও একবার দেখালেন পাকিস্তান সফরে। সাকিব আল হাসান, সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন। হয়েছেন হত্যা মামলার আসামি। চোখের সমস্যাতো অনেকদিন হলো।
এরপরও হাল ছাড়েননি। মনের ঝড় বাইরে বুঝতে দেন না কাউকে টাইগার এই অলরাউন্ডার। এদিকে শারীরিক সক্ষমতাও ধরে রাখার চেষ্টায়ও সফল সাকিব। বয়স ৩৭ হলেও এখন আগের চেয়ে বহু বেশি ফিট। পাকিস্তান সফর শেষে ভারত সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও নিজের ফর্মে ফেরার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তিনি।
এদিকে ভারত সিরিজ শেষে ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। এই সিরিজের আগে আবারও প্রশ্ন উঠেছে সাকিব কী এই সিরিজে দলে থাকবে। তারা দলে থাকা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। কেননা তিনি মামলার আসামী!
অবশ্য জানা যায়, বিসিবিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে- অভিযুক্ত না হলে সাকিবকে হেনস্থা করা হবে না। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও খেলার কথা সাকিবের, এমনটায় জানিয়েছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস।
শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন… বাংলাদেশ সরকার থেকে যে ক্লিয়ার ম্যাসেজটা আছে- যে মামলাগুলো হয়েছে এ ব্যাপারে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্থা করা হবে না। আমরা মনে করি, সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। ইঞ্জুরি ও সিলেকশনজনিত ইস্যু না থাকলে এখন পর্যন্ত সাকিবের হোম সিরিজ না খেলার কোনো কারণ আমি দেখছি না।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে বিসিবির আলাপচারিতায় সাকিবের পক্ষে থাকার আশ্বাস জানিয়ে নাফীসঃ বলেন, ‘উপদেষ্টাগণ তাদের এবং সরকারের মনোভাব সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। আমি কোনো সংশয় দেখছি না।’