সম্প্রতি ইসলায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় ইরান। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বীকার না করে বরং আক্রান্ত স্থানের ছবি-ভিডিও প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এরই মধ্যে হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানোর জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে তেলআবিব।
বলা হচ্ছে- ইরানের পরমাণু স্থাপনাতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল, যদিও এ ধরনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ইসায়েলের মদদদাতা আমেরিকা। তবে ইরানের ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আক্রমণের জন্য আলোচনা চলছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের তেল ক্ষেত্রগুলোতে হামলা করার জন্য সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় এমন হামলা তিনি সমর্থন করেন কি না তা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বাইডেন জানান, সীমিত পরিসরে হামলা হবে বলে তিনি মনে করেন, তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
বাইডেনের এ বক্তব্যে হোয়াইট হাউসের অবস্থান স্পষ্ট হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার জন্য ইসরায়েলি সম্ভাবনার প্রতি সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, মঙ্গলবারের হামলার জবাবে ইসরায়েল প্রথমে ইরানের তেলক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালাবে। তারপর ইরান এর প্রতিক্রিয়া দেখালে পাল্টা জবাবে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হবে। ইরান যাতে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। আর এ ধরনের হামলার এখনই সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে মনে করছে ইসরায়েল।
বিবিসি বলছে, ইসরায়েল অনুমান করার চেষ্টা করছে, তাদের হামলার জবাবে ইরান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে এবং তা কীভাবে প্রশমিত করা যায়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, হামলার জন্য ইরানকে অনেক চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানান, ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া দেখালে দেশটির সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠমোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করবে ইরান।
এদিকে, ইরানি তেলক্ষেত্রে হামলার সম্ভাবনা নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের পরপরই বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলে ইরানের বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এটি এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ বেড়েছে।