বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির পর এবার সেক্রেটারির পরিচয় জানা গেছে। এস এম ফরহাদ নামের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলে। তিনি ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ফরহাদ হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিম উদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ফরহাদ ২০২২-২৩ সেশনে জসীম উদদীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া এস এম ফরহাদ পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিষদের সাবেক সভাপতি।
ফরহাদের ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর আরেকটি পরিচয়ও সামনে এসেছে; সেটি হলো তিনি ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা দেখা গেছে। ওই কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর তালিকায় তার নাম দেখা গেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। এর পরই শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
আব্দুল কাদের ওই স্ট্যটাসে ফরহাদ নামের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সাদিক কায়েম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। জানা যায়, সাদিক কায়েম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি সংস্কারে সব ছাত্র নেতৃবৃন্দকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি চর্চার কথা বলেন।
এই ঘটনার পরে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। কেউ কেউ বলতে থাকেন ‘তিনি সমন্বয়কদের সমন্বয়ক’, আবার কেউ বা মজা করে বলতে থাকেন, ‘মানুষ মাত্রই শিবির’। আবার কেউ বিদ্রুপ করে বলেন, ‘নিজেদের সুবিধা নিতেই এই সময় তিনি নিজেকে প্রকাশ করেছেন’।