ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খান অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থাও আছে তার। সেটা থেকে সিনেমাও বানিয়েছেন। এমনকি সিনেমা বানানোর জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুদানও নিয়েছিলেন শাকিব।
২০২১-২২ অর্থবছরে আওয়ামী সরকারের কাছ থেকে প্রযোজক হিসেবে ‘মায়া’ নামের সিনেমার জন্য ৬৫ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছিলেন শাকিব খান। সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা হিমেল আশরাফের। অনুদানের প্রথম কিস্তির চেক সরকারের কাছ থেকে তুলে নিলেও এখন পর্যন্ত সিনেমার শুটিং শুরু করেননি এ নায়ক
নিয়ম অনুযায়ী অনুদানের চেক পাওয়ার নয় মাসের মধ্যে সিনেমা নির্মাণ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার কথা। সিনেমা নির্মাণে দেরি হলে যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
এক্ষেত্রে শাকিব খান এতদিন হয়ে গেলেও সিনেমাটি নির্মাণ করেননি এবং সময় বাড়ানোর জন্যও সেরকম কোনো আবেদন করেছেন বলে জানা যায়নি।
ওই বছরে ১৯টি সিনেমা অনুদান পেয়েছিল। এরমধ্যে অনেকগুলো মুক্তি পেয়েছে ও বেশ কিছু সিনেমার শুটিং শেষ। একটি জমা আছে সেন্সর বোর্ডে। একই বছর ১৯ সিনেমার মধ্যে শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাসও ‘লাল শাড়ি’ নামে একটি সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন।
তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করে মুক্তিও দিয়েছেন। কিন্তু শাকিব এখনও কাজ শুরু করেননি। মানেননি অনুদানের শর্ত তথা রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুন।
এদিকে গত বছর নির্মাতা হিমেল জানিয়েছিলেন ‘রাজকুমার’ সিনেমার পর শুরু হবে ‘মায়া’র শুটিং, পরিবর্তন হবে সিনেমার নাম। কিন্তু এখন পরিচালক জানান, সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাহলে কি আর হচ্ছে না সরকারি অনুদানের সিনেমাটির কাজ?
এর উত্তর জানা নেই হিমেলের কাছে। তিনি মায়ার বিষয়টি প্রযোজক শাকিব খানের ওপর ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই প্রজেক্টটাতে আমি আর নেই। শাকিব ভাই সিনেমার প্রযোজক, তিনি অনুদান পেয়েছেন। এ সিনেমা নিয়ে কী করবেন এটা তার সিদ্ধান্ত।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রযোজক-নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টায় ফোন করা হলে তিনি সেটা রিসিভ করেননি।
শাকিব খান বর্তমানে ব্যস্ত আছেন ‘বরবাদ’ নামে একটি সিনেমা নিয়ে। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘দরদ’। এটি ১৫ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।