Topসারাদেশ

অসময়ের বন্যায় ধরলা ও তিস্তায় ব্যাপক ভাঙন

অসময়ের বন্যা স্বল্প মেয়াদী হলেও পানি নামার পরে তীব্র আকার ধারণ করেছে কুড়িগ্রামের নদনদীর ভাঙন। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে ধরলা ও তিস্তায়। রাজার হাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম, বুড়ির হাটে ১০টির বেশি বাড়ি বিলীন হয়েছে।

গতিয়াসাম এলাকার আবদুস সোবহান বলেন, পানিতে সব তলিয়ে গেছিল। পানি নামলো তা ভাঙন বাড়ল। পানি বাড়ার সময়ও চারটি বাড়ি ভেঙে গেছে। হুমকিতে আছে আরও শতাধিক বাড়ি ঘর।

এদিকে গত দুইদিনে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আক্কেল মামুদ কমিউনিটি ক্লিনিক, কুদের কুটি কাশেম বাজার জামে মসজিদ, ৬০টি বসতবাড়িসহ ফসলি জমি, গাছপালা নদীতে বিলীন হয়েছে।

এ ছাড়া খুদের কুটি আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে দিন-রাত গাছের ডাল ও বস্তা ফেলে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ভাঙন কব‌লিত মানুষজন।

ভাঙন কব‌লিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকতার হোসেন, মোক্তার হোসেন, মহুবর রহমান, ইব্রাহীম আলী জানান, আমাদের বসতবাড়ি ও জমাজমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এলাকার মানুষ সর্বস্বান্ত হ‌য়ে যা‌বে।

বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ধরলার ভাঙনে আমার বাড়িসহ ৬০টি বসতবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্কুল, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রসহ সব কিছু নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আক্কেল মামুদ কমিউনিটি নদী গর্ভে বিলীন হ‌য়ে‌ গেছে। উপকরণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে। ভাঙন রোধে এক হাজার ৫০০ জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, তিস্তার এলাকা ভাঙন বেড়েছে। সেখানে প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক:

Leave a Reply