Topসারাদেশ

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণাশহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ দুই দিন কর্মসূচি শুরু হবে।

আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে দুটি দিবসের কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি

সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেখানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সেখান থেকে তাঁরা রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

ফারুক-ই আজম বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই দিন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হবে।

বিজয় দিবসের কর্মসূচি

মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস সরকারি ছুটি। এ বছর বিজয় দিবসে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় দিনব্যাপী বিজয়মেলা হবে। তাতে চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের প্রদর্শনী থাকবে। শিশুদের জন্য থাকবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

ওই দিন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিকেলে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের সব শিশু পার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে। সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র দেখানো হবে; যা বিনা মূল্যে দেখা যাবে।

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, দেশে এখন বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪। এর মধ্যে বীরাঙ্গনার সংখ্যা ৪৬৪। অথচ ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ–সংক্রান্ত ফরম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজ তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

নিউজ ডেস্ক:

Leave a Reply