সাঈদী ফাইন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, কোরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এই মাহফিলে আপনারা আমার বাবার কথা শুনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু খুনি সরকার তা হতে দেয়নি। আমি শুধু তার প্রতিছবি হিসেবে সাতক্ষীরার এ ময়দানে এসেছি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে সাতক্ষীরা ইটাগাছা সমাজকল্যাণ পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থপনায় দুই দিনব্যাপী ৮ম বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রথম দিনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে তথাকথিত ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদীর মিথ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। সেই প্রতিবাদে যখন সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩শ মানুষকে হত্যা করেছে। শাপলা চত্বরে ৫ মে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিলেন নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে; তখন হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছিল। শেখ হাসিনার হাত লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।
সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনা রাখেন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফয়জুল হক। মাহফিলে মাওলানা আহম্মদ আলী, সাতক্ষীরা শিবিরের সভাপতি আল মামুন, সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের নায়েবে আমির ফখরুল হাসান লাভলু, স্থানীয় জামায়াতের সভাপতি, ব্যবসায়ী আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।
তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা মহনগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, সাতক্ষীরা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।