নারী সাফ খেলতে নেপাল যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করতে হতো না। রোববার (২০ অক্টোবর) সাফে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা গুছিয়ে আনতেই ৪৫ মিনিট পার হয়ে যায় এবং ১-০ গোলে পিছিয়ে যায়। বাংলাদেশের মেয়েরা অভিজ্ঞ বলে তারা দ্রুত খেলাটা গুছিয়ে এনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না। গোল মুখে গিয়ে ফিনিশিংটা হচ্ছিল না। ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেলে গোলের দেখা পায় এবং ম্যাচ বাঁচায় বাংলাদেশ।
খেলাটা যে ভালো হয়নি তার স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বাংলাদেশের মনিকা চাকমা। ‘আমরা এই রেজাল্টে সন্তুষ্ট না। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করছিল। ম্যাচ হারের ভয়। আমরা পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছি। কিন্তু এবার যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে যাই সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে না। এটা আমাদের জন্য ব্যাডলাক। আমরা হারবো না এমন একটা প্রতিশ্রুতি। যেভাবেই হোক গোল রিটার্ন করতে হবে-নেপালে সংবাদমাধ্যম্যকে বলছিলেন মনিকা।
মনিকাদের চেষ্টাগুলো বৃথা গেছে গোল না পাওয়ায়। গোলের খেলা যদি হয় ফুটবল, গোল না পেলে ভালো খেলার কোনো মূল্য নেই। তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ফুটবলারদের ভেতরে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে গোল শোধ করে। মনিকা বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। এই খেলা খেলে আমরা প্লেয়াররা সন্তুষ্ট না।’ মনিকা জানিয়ে গেলেন তারা ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ খেলবেন। সেই ম্যাচেই বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ হবে ফাইনালে যেতে পারবে কি পারবে না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলদাতা জুনিয়র সামসুন নাহার মাথায় আঘাত পেয়েও ফুটবল খেলেছেন একই গতিতে। মাথায় আঘাত লেগেছিল পাকিস্তানি অধিনায়কের সঙ্গে আঘাত লেগে। পাকিস্তানি ফুটবলারও মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। দুই জনই মাথায় ব্যান্ডেজ বেধে খেলেছেন। নেপাল থেকে জানানো হয়েছে সামসুন নাহার সুস্থ রয়েছেন। চোখের কোনায় কেটে গিয়েছিল, সেটাও নাকি গুরুতর নয়। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারবেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলের হতাশ না বাংলাদেশ নারী দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার। তিনি খুশি। কিন্তু এটাই মেনে নিতে হয়। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের কোয়াতি কিসকু, তহুরা খাতুন, মনিকা, আফিদা, ঋতুপর্না, কৃষ্ণা রানী সরকার, জুনিয়র সামসুন নাহার, সিনিয়র সামসুন নাহাররা অনেক ভালো খেলেছে। পাকিস্তান চেয়েছে কখন খেলাটা শেষ হবে। শেষ মুহূর্তে এসে গোল হজম করবে ম্যাচ কেড়ে নেবে সেটা পাকিস্তানি মেয়েরা বুঝতেই পারেনি।
সাবিনাদের কোচ পিটার বাটলার বললেন, ‘এটা সবচেয়ে বেশি হতাশার। ভালো খেলেও আপনি ম্যাচ জিততে পারছেন না। ক্রসবারে লেগে বল ফিরে এসেছে। ভাগ্যটা কোথায় যেন আটকে গিয়েছিল। এজন্যই বলতে হয় ফুটবল কখনো কখনো নিষ্ঠুর হয়ে যায়।’