মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুরোপুরি দখল নিতে দেশটির বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই আবারও তীব্র হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে রাখাইন সীমান্তের ওপারে চলা মর্টারশেলের বিস্ফোরণ টেকনাফ সীমান্তের বসবাসকারী মানুষের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। বিস্ফোরণের শব্দে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। দেয়ালধসের আশঙ্কায় সেসব ঘরের বাসিন্দারা প্রতিবেশী ও স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাবরাং আচাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও হ্নীলা ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হানিফ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মর্টারশেলের বিস্ফোরণ ও যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া গোলার বিকট শব্দে সাবরাংয়ের এপারে কেঁপে উঠছে। গ্রামের অনেক টিনের মাটির ঘরে ফাটল ধরেছে। দেয়ালধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টেকনাফ জেটিঘাটের বাসিন্দা জেলে মো. আব্দুল্লাহ বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গত কয়েকদিন ধরে আবারও মর্টারশেল বিস্ফোরণ শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন সীমান্তের ওপারে মর্টারশেল ও যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া গোলার বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, সদর ও হ্নীলা ইউনিয়ন। এসব বিস্ফোরণে এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভয়ে ও আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, আতঙ্কে সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফনদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক আছে।
ইউএনও আরও বলেন, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।