পর্ব ২
আর্থিক দুর্নীতি, বিদ্যালয়ে কর্তব্যরত শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন,শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়,ছুটি না নিয়ে ছুটি কাটানোর নিয়মিত ক্লাস না করানো।
পিরোজপুর জেলা নাজিরপুর উপজেলা নাজিরপুর থানাধীন ২ নং মালিখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকেরা গত বছরের নাজিরপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে দেখা করে মৌখিক অভিযোগ করলেও বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন নেই দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশের।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শাখার প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ ২ নং মালিখালি ইউনিয়নের বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় স্বৈরাচার সরকারে অবৈভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর থেকে লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দায়িত্ব পালনকালীন সময় স্বৈরাচার সরকারের অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারি বই বিতরণ’সহ কারিগরি শাখার ভর্তি নিয়ে টালবাহানা ও জেনারেল শাখার শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি হুমকি প্রদানের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষক ও যুবলীগের সভাপতি হওয়ার দাপটে স্কুলের একটি রুম দখল করে ব্যক্তিগত রুম হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ওই রুমে সন্ধ্যার পরে বসান জুয়া ও মদের আসর।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার না থাকলেও রয়ে গেছে যুবলীগের সভাপতি সক্রিয় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শিক্ষক দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ ও তার দুর্নীতি, অনিয়ম আর অপকর্মের লম্বা ফিরিস্তি।স্থানীয়ভাবে বিপুল আলোচনায় রয়েছে, এই শিক্ষক নামধারী রিপাশ।
প্রতিদিনের খবর ২৪ এর প্রতিনিধি সরজমিনে অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয়রা বলেন স্বৈরাচার সরকারের আমলে নিয়োগকৃত লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ দীর্ঘ ১২ বছর যাবত স্বৈরাচার সরকারের প্রভাব খাটিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে গড়ে তুলেছে নিজস্ব সিন্ডিকেট।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে সাবেক মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট শ’ম রেজাউল করিম ও তার মেজো ভাই বাবুলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে ও ২ নং মালিখালি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় অপরিসীম ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ।
স্বৈরাচার সরকার থাকাকালীন সময় থেকে আজ অব্দি দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ নানা অনৈতিক অপকর্মের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি পিরোজপুর মালিখালি ২ নং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে এক বিঘা জমির উপরে নির্মাণ করেন বিলাসবহুল আলিশান একটি বাড়ি অত্র এলাকায় তার নিজস্ব একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গড়ে তোলেন নিজস্ব সাম্রাজ্য।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নিজের নানা অনিয়ম দুর্নীতির অনৈতিকতা ও সকল অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড সচল সক্রিয় রাখতে সহায়তা নেন।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ ও নাজিরপুর প্রেসক্লাবের মেম্বার পরিচয়দানকারী মাটিভাংগা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাতীয়তাবাদী নাজিরপুর থানা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিমের ছত্রছায়ায় চালিয়ে যাচ্ছে তার সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেলে কথা হয় নাজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ ও নাজিরপুর প্রেসক্লাবের মেম্বার পরিচয়দানকারী মাটিভাংগা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের সঙ্গে।
সভাপতি আবু সাঈদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন আমি মোটরসাইকেলে আছি বলে ফোনটি কেটে দেয়।
জাতীয়তাবাদী নাজিরপুর থানা যুবদলের সভাপতি মাটিভাংগা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন।
দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে আসা সাংবাদিক ভাইদের কে আমি শুধু অনুরোধ করে বলেছিলাম যে দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশ যেহেতু একটি সরকারি বিদ্যালয় একজন প্রধান শিক্ষক সেই ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব তাকে যে সেক্রিফাইস করা হয়।
স্বৈরাচারী সরকারের ২ নং মালিখালি ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি দীপঙ্কর সমাদ্দার রিপাশের চাঞ্চল্যকর আরো সব তথ্য থাকছে তৃতীয় পর্বে