Topজাতীয়

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি অধিবেশনে যোগ দেন।

জানা গেছে, ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন, প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ ও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় তুলে ধরবেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে বিশ্বে চলমান নানা ইস্যুতে কথা বলবেন তিনি। এ ছাড়াও বিশ্বযুদ্ধের ফলে ক্ষয়ক্ষতি, ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।

অধিবেশনে এবারের বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম এএ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা এবং বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানে চলাকালে ‘গণহত্যার’ ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়। সেসব ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়েও আলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এএ খান বলেন, তিনি এ বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরও বক্তব্য দেন।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার নিমিত্তে জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। করিম খান বলেন, ‘এ তিন দফা যথার্থ।’

অধ্যাপক ইউনূস আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময় গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ বিপ্লবে কমপক্ষে ৭০০ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে অভিযোগ করতে পারে। তবে তিনি বলেন, আইসিসিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য যথাযথ নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হয়।

নিউজ ডেস্ক:

Leave a Reply