দুই বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ। এ রকম ভুক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানায়।
বুধবার পরিষদের পক্ষে গেন্ডারিয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাক এবং রমনা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়, ঢাকাসহ সারা দেশের ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ কার্যকর হলেও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে এটি কার্যকর হয় ২০১৮ সালে।
প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে বেতন স্কেল-২০১৫ পরে কার্যকর হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ সালের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও ওই দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন-ভাতা শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো পাননি।…বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনো কোনো সিলেকশন গ্রেডও পাননি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে ভুক্তভোগী ৭৪টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি জানানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩-এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা; বিএসএড পাস করা শিক্ষকদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা দেওয়া; ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া; এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দেওয়া এবং শূন্য ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দেওয়া; পদোন্নতি, টাইম স্কেল দেওয়া, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন; এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করা৷